তুমি চোখের আড়াল হও লিরিক্স [ Tumi Chokher Aral Hou lyrics ] – গানটি গেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন [ Sabina Yasmin ]
![তুমি চোখের আড়াল হও লিরিক্স [ Tumi Chokher Aral Hou lyrics ] - সাবিনা ইয়াসমিন [ Sabina Yasmin ] 1 তুমি আমার মনের মানুষ লিরিক্স | tumi amar moner manush lyrics | সাবিনা ইয়াসমিন | রফিকুল আলম | আলাউদ্দীন আলী | স্বপ্নের পৃথিবী](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_300,h_226/https://musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/sabina-yasmin-e1647068467979-300x226.jpg)
তুমি চোখের আড়াল হও লিরিক্স
এই মন তোমাকে দিলাম
এই প্রেম তোমাকে দিলাম
তুমি চোখের আড়াল হও
কাছে কিবা দূরে রও
মনে রেখো আমিও ছিলাম
বকুলের মালা শুকাবে
রেখে দেব তার সুরভী
দিন গিয়ে রাতে লুকাবে
মুছো নাকো আমারই ছবি
আমি মিনতি করে গেলাম
ভালোবেসে আমি বার বার
তোমারি ও মনে হারাবো
এই জীবনে আমি যে তোমার
মরণেও তোমারই হব।
তুমি ভুলো না আমারও নাম
![তুমি চোখের আড়াল হও লিরিক্স [ Tumi Chokher Aral Hou lyrics ] - সাবিনা ইয়াসমিন [ Sabina Yasmin ] 2 যদি রাত পোহালে শোনা যেত লিরিক্স | jodi raat pohale shuna jeto | সাবিনা ইয়াসমিন | হাসান মতিউর রহমান | মলয় কুমার গঙ্গোপাধ্যায়](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_225,h_300/https://musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/Sabina_Yasminসাবিনা_ইয়াসমিন_2-225x300.jpg)
“সাবিনা ইয়াসমিন” নিয়ে বিস্তারিতঃ
সাবিনা ইয়াসমিন (জন্ম: ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪) একজন বাংলাদেশি নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানের পাশাপাশি তিনি দেশাত্মবোধক গান থেকে শুরু করে উচ্চাঙ্গ, ধ্রুপদী, লোকসঙ্গীত ও আধুনিক বাংলা গানসহ বিভিন্ন ধারার নানান আঙ্গিকের সুরে গান গেয়ে নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি ১৪টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ৬টি বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেছেন। শিল্পকলার সঙ্গীত শাখায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৮৪ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক এবং ১৯৯৬ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।
সাবিনা শৈশব থেকে গানের তালিম নেওয়া শুরু করেন। তিনি সাত বছর বয়সে প্রথম মঞ্চানুষ্ঠানে অংশ নেন এবং খেলাঘর নামে একটি বেতার অনুষ্ঠানে ছোটদের গান করতেন। ১৯৬২ সালে নতুন সুর চলচ্চিত্রে রবীন ঘোষের সুরে ছোটদের গানে অংশ নেন। চলচ্চিত্রে পূর্ণ নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৬৭ সালে আগুন নিয়ে খেলা চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে। ১৯৭২ সালে অবুঝ মন চলচ্চিত্রের “শুধু গান গেয়ে পরিচয়” গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি প্রথম জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ১৯৭৬ সালে প্রদত্ত ১ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি সুজন সখী চলচ্চিত্রের “সব সখীরে পাড় করিতে” গানের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন এবং এরপর গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), সুন্দরী (১৯৭৯) ও কসাই (১৯৮০) চলচ্চিত্রের জন্য টানা আরও তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
১৯৮০-এর দশকে তার গাওয়া “জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো”, “আমি রজনীগন্ধা ফুলের মত” ও “চিঠি দিও প্রতিদিন” গানগুলো জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এই সময়ে তিনি চন্দ্রনাথ (১৯৮৪), প্রেমিক (১৯৮৫), রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত (১৯৮৭) ও দুই জীবন (১৯৮৮) চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর তিনি দাঙ্গা (১৯৯১), রাধা কৃষ্ণ (১৯৯২), দুই দুয়ারী (২০০০), দুই নয়নের আলো (২০০৫), ও দেবদাস (২০১৩) চলচ্চিত্রের গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি সর্বশেষ পুত্র (২০১৮) চলচ্চিত্রের গানের জন্য তার ১৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
তার গাওয়া দেশাত্মবোধক গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল “জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো”, “সব ক’টা জানালা খুলে দাও না”, “ও আমার বাংলা মা”, “মাঝি নাও ছাড়িয়া দে”, “সুন্দর সুবর্ণ” ও “একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার”। গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি ২০১০ সালে চ্যানেল আইয়ের সেরা কণ্ঠ অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার তৃতীয় স্বামী কবীর সুমন একজন স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার।