রাগ পরিচয় : রাগ-সুরদাসী মল্লার বা সুরমল্লার [ Raga Surdasi Malhar or Sur Malhar ]
রাগ সুরদাসী মল্লার [ যেটাকে অনেকে সুরমল্লারও বলে থাকেন। আবার সুরদাসী মালহার বা সুর মালহার বলা হয়, [ Raga Surdasi …
শাস্ত্রীয় সঙ্গীত হচ্ছে শাস্ত্রের নিয়মাদি মেনে চলা সঙ্গীত। সঙ্গীতকে যে সব নির্দিষ্ট নিয়মের ভেতর দিয়ে চলতে হয় সেই নিয়মগুলো শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ইতিহাস অনেক পুরানো। বৈদিক যুগ থেকে এই সঙ্গীতের চর্চা চললেও প্রায় দুই হাজার বছর আগে থেকে মন্দিরে সুরের মাধ্যমে স্তোত্র পাঠ করা হত। বৈষ্ণবরা এই স্তোত্র পাঠ করতেন। ধারণা করা হয়, সেই স্তোত্রের সুর থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বিকাশ। এই শাস্ত্রীয় সঙ্গীত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, রাগ সঙ্গীত, ধ্রুপদি সঙ্গীত বা শুদ্ধ সঙ্গীত নামে পরিচিত।
একাদশ শতাব্দীতে চালুক্যরা এই অঞ্চলে অভিযানে আসে। চালুক্য সাম্রাজ্য ছিল দক্ষিণ ভারতের প্রাচীন সাম্রাজ্য। এই সম্রাজ্য ষষ্ঠ থেকে বার শতক পর্যন্ত শাসন করেছে। দ্বিতীয় পুলকেশ ছিলেন চালুক্য সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ রাজা। তাঁর সময়ে প্রশাসনিক দক্ষতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রসারে এই সাম্রাজ্যের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছিল। সেই সময় চালুক্য সাম্রাজ্যের সাথে বহু কর্ণাটকী পরিবারও এ অঞ্চলে আসেন এবং বসতি স্থাপন করেন। সেন রাজারা কর্ণাটকী পরিবারেরই বংশধর। সেন বংশের হাতে রাজত্ব যাওয়ার পর উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের বেশ প্রসার ঘটে। কারণ তাঁরা ছিলেন সঙ্গীত অনুরাগী। এই অঞ্চলের শেষ হিন্দু রাজা লক্ষণ সেনের সভাকবি ছিলেন ‘জয়দেব’। তাঁর রচিত ‘গীতগোবিন্দ’ একটি প্রাচীন কাব্যগ্রন্থ। গীত গোবিন্দের পদগুলো ছিল প্রবন্ধ শ্রেণির সঙ্গীত।
উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত এই ভারত উপমহাদেশে দুটি ভাগে বিভক্ত। হিন্দুস্তানি সঙ্গীত আর কর্ণাটকী সঙ্গীত। হিন্দুস্তানি সঙ্গীত উত্তর ভারতে প্রচলিত। কর্ণাটকী সঙ্গীত মহীশূর, অন্ধ্র, মাদ্রাজ ও কর্ণাটক অঞ্চলে প্রচলিত। দুটি পদ্ধতিই আপন ও স্বকীয়তা নিয়ে অনুশীলিত হচ্ছে।
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত দুইভাবে পরিবেশিত হয়। কণ্ঠসঙ্গীত এবং যন্ত্রসঙ্গীতের মাধ্যমে। সরোদ, সেতার, সুরবাহার, বীণা, সারেঙ্গী, বাঁশি, বেহালা, সন্তুর, তবলা, পাখোয়াজ, মৃদঙ্গ, তানপুরা, এস্রাজ ইত্যাদি যন্ত্রের মাধ্যমে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বিভিন্ন রাগের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
রাগ সুরদাসী মল্লার [ যেটাকে অনেকে সুরমল্লারও বলে থাকেন। আবার সুরদাসী মালহার বা সুর মালহার বলা হয়, [ Raga Surdasi …
রাগ মিয়া কি টোড়ি । হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত রাগ পরিচয় ঠাট – টোড়ী জাতি – সম্পূর্ণ বাদী – ধৈবত সমবাদী …
খেয়াল বা খেয়াল গান – সঙ্গীত শৈলী [ Kheyal, Music Genre ] ফারসি ভাষা ‘খ্যাল’ থেকে উদ্ভূত খেয়াল [ Kheyal …
রাগের সময় উত্তর ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভারতীয় সঙ্গীতশাস্ত্রে রাগ পরিবেশনের জন্য সময় একটি বিশেষ নিয়ামক হিসাবে বিবেচনা …
রাগ অরুণ রঞ্জনী কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্ট রাগ। উল্লিখিত সূত্রে প্রাপ্ত আঠারোটি রাগের ভিতরে এই রাগটিকে গণ্য করা হয়। ‘অরুণ রঞ্জনী’ …
রাগ অরুণ ভৈরব কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্ট রাগ বিশেষ। উল্লেখ্য ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে, কাজী নজরুল ইসলাম উদাসী ভৈরব নামক …
কর্নাটকী সঙ্গীত বা কর্ণাটী সঙ্গীত বা কর্ণাটকীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত হচ্ছে ভারতীয় উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আদিতম রূপ। দক্ষিণ ভারতে উদ্ভূত কর্ণাটী …
ভারতীয় উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের চর্চা ভারতে বৈদিক যুগ থেকে চলে আসছে। সামবেদে সঙ্গীতকে একটি পূর্ণাঙ্গ ও বিস্তারিত বিষয় হিসেবে আলোচনা …
রাগ কল্যাণ হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কল্যাণ ঠাট এর একটি রাগ। এই রাগটিকে শ্রী রাগের সপ্তম পুত্র মনে করা হয়। রাগ …
রাগ কলাবতী উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত শাস্ত্রে বর্ণিত খাম্বাজ ঠাট-এর একটি রাগ বিশেষ। এই রাগটি মূলত দক্ষিণ ভারতীয় রাগ। কোমল নিষাদ …