শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সূচি
শাস্ত্রীয় সঙ্গীত অর্থ সহজ কথায় প্রতিটি দেশের ঐতিহ্যগত এবং পরিশোধিত, বিধিবদ্ধ সঙ্গীত। বিভিন্ন দেশের স্থানীয় সঙ্গীত, লোক সঙ্গীত থেকেই শাস্ত্রীয় …
শাস্ত্রীয় সঙ্গীত হচ্ছে শাস্ত্রের নিয়মাদি মেনে চলা সঙ্গীত। সঙ্গীতকে যে সব নির্দিষ্ট নিয়মের ভেতর দিয়ে চলতে হয় সেই নিয়মগুলো শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ইতিহাস অনেক পুরানো। বৈদিক যুগ থেকে এই সঙ্গীতের চর্চা চললেও প্রায় দুই হাজার বছর আগে থেকে মন্দিরে সুরের মাধ্যমে স্তোত্র পাঠ করা হত। বৈষ্ণবরা এই স্তোত্র পাঠ করতেন। ধারণা করা হয়, সেই স্তোত্রের সুর থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বিকাশ। এই শাস্ত্রীয় সঙ্গীত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, রাগ সঙ্গীত, ধ্রুপদি সঙ্গীত বা শুদ্ধ সঙ্গীত নামে পরিচিত।
একাদশ শতাব্দীতে চালুক্যরা এই অঞ্চলে অভিযানে আসে। চালুক্য সাম্রাজ্য ছিল দক্ষিণ ভারতের প্রাচীন সাম্রাজ্য। এই সম্রাজ্য ষষ্ঠ থেকে বার শতক পর্যন্ত শাসন করেছে। দ্বিতীয় পুলকেশ ছিলেন চালুক্য সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ রাজা। তাঁর সময়ে প্রশাসনিক দক্ষতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রসারে এই সাম্রাজ্যের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছিল। সেই সময় চালুক্য সাম্রাজ্যের সাথে বহু কর্ণাটকী পরিবারও এ অঞ্চলে আসেন এবং বসতি স্থাপন করেন। সেন রাজারা কর্ণাটকী পরিবারেরই বংশধর। সেন বংশের হাতে রাজত্ব যাওয়ার পর উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের বেশ প্রসার ঘটে। কারণ তাঁরা ছিলেন সঙ্গীত অনুরাগী। এই অঞ্চলের শেষ হিন্দু রাজা লক্ষণ সেনের সভাকবি ছিলেন ‘জয়দেব’। তাঁর রচিত ‘গীতগোবিন্দ’ একটি প্রাচীন কাব্যগ্রন্থ। গীত গোবিন্দের পদগুলো ছিল প্রবন্ধ শ্রেণির সঙ্গীত।
উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত এই ভারত উপমহাদেশে দুটি ভাগে বিভক্ত। হিন্দুস্তানি সঙ্গীত আর কর্ণাটকী সঙ্গীত। হিন্দুস্তানি সঙ্গীত উত্তর ভারতে প্রচলিত। কর্ণাটকী সঙ্গীত মহীশূর, অন্ধ্র, মাদ্রাজ ও কর্ণাটক অঞ্চলে প্রচলিত। দুটি পদ্ধতিই আপন ও স্বকীয়তা নিয়ে অনুশীলিত হচ্ছে।
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত দুইভাবে পরিবেশিত হয়। কণ্ঠসঙ্গীত এবং যন্ত্রসঙ্গীতের মাধ্যমে। সরোদ, সেতার, সুরবাহার, বীণা, সারেঙ্গী, বাঁশি, বেহালা, সন্তুর, তবলা, পাখোয়াজ, মৃদঙ্গ, তানপুরা, এস্রাজ ইত্যাদি যন্ত্রের মাধ্যমে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বিভিন্ন রাগের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীত অর্থ সহজ কথায় প্রতিটি দেশের ঐতিহ্যগত এবং পরিশোধিত, বিধিবদ্ধ সঙ্গীত। বিভিন্ন দেশের স্থানীয় সঙ্গীত, লোক সঙ্গীত থেকেই শাস্ত্রীয় …
কর্নাটকী সঙ্গীত (Carnatic Music) বা কর্ণাটকীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রাচীনতম এবং গূঢ়তর একটি রূপ, যার উৎপত্তি দক্ষিণ ভারতে। …
ভারতীয় উপমহাদেশে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের চর্চা শুরু হয়েছে প্রাচীন বৈদিক যুগ থেকেই। চার বেদের অন্যতম, সামবেদ-এ সঙ্গীতকে একটি পূর্ণাঙ্গ ও বিস্তারিত …
হিন্দুস্থানী সঙ্গীতে রাগ: প্রাচীন সঙ্গীত শাস্ত্রে স্বর ও বর্ণ দ্বারা ভূষিত ধ্বনিবিশেষকে রাগ বলা হয়। এটি মানবচিত্তে এক ধরনের রঞ্জক …
রাগ কেদার বা কেদারা উত্তর ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহ্যবাহী রাগ। এর সুরের সৌন্দর্য ও অভিব্যক্তি এতই …
শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও চর্যাপদ সম্পর্কে আজ খুব সংক্ষেপে আলোচনা করা হবে। আমরা জানি চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের আদি সাহিত্য। বাংলা সাহিত্য, …
রাগ মধুমাদ সারং হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কাফি ঠাটের অন্তর্গত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাগ, যা সারং রাগাঙ্গের অংশ। এটি মধ্যাহ্নভাগে পরিবেশনের জন্য …