শাহীন সামাদ হলেন একজন স্বনামধন্য বাংলাদেশী নজরুলগীতি শিল্পী। সঙ্গীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করেন।
Table of Contents
শাহীন সামাদ । বাংলাদেশী নজরুলগীতি শিল্পী
প্রাথমিক জীবন
শাহীন সামাদ ১৯৫২ সালের ২৭ ডিসেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সামসুল হুদা এবং মাতা শামসুন নাহার রহিমা খাতুন। তার শৈশবের বেশিরভাগ সময় কাটে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায়।
তিনি ঢাকায় রাম গোপাল, ওস্তাদ ফজলুল হক মিয়া, সনজীদা খাতুন এবং ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদের কাছ থেকে সঙ্গীতের তালিম গ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে ১৩ বছর বয়সে তিনি ছায়ানটে ভর্তি হন। সেই বছর তার বাবা মারা যান।
সেখানে লুতফর রহমান, সোহরাব হোসেন ও অঞ্জলি রায় তার শিক্ষক ছিলেন। ১৯৭৪ সালে তিনি লন্ডন চলে যান। লন্ডন থেকে ফিরে এসে তিনি সুধীন দাশ এর কাছ থেকে গানের তালিম নেন।
কর্মজীবন
শাহীন সামাদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একজন শিল্পী ছিলেন। তিনি ৩৬টি দেশাত্মবোধক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল “তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর”, “মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি”, “রক্তের প্রতিশোধ রক্তেই নেব আমরা”।
এছাড়া এ সময়ে তিনি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী “বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রামী শিল্পী সংস্থা”য় যোগ দেন। তারা বিভিন্ন রিফিউজি ক্যাম্পে এবং মুক্ত অঞ্চল এলাকায় ঘুরে ঘুরে মুক্তিযোদ্ধাদের ও সাধারণ মানুষকে যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করতেন, পুতুল খেলা ও মঞ্চ নাটকের আয়োজন করতেন।
২০১৬ সালে তার চারটি গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। আল্লাহকে যে পাইতে চায় ও দূর আজানের মধূর ধ্বনি অ্যালবাম দুটি হামদ-নাত বিষয়ক; নানা বর্ণের গান অ্যালবামে রয়েছে পঞ্চকবির গান; এবং অন্তরে তুমি অ্যালবাম নজরুলগীতি দিয়ে সাজানো হয়েছে।
ব্যক্তিগত জীবন
শাহীন সামাদ হাবিব উস সামাদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
জনপ্রিয় সংস্কৃতি
১৯৯৫ সালে তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ পরিচালিত মুক্তির গান প্রামাণ্য চলচ্চিত্রে শাহীন সামাদ অংশগ্রহণ করেন।
আরও দেখুনঃ