মিতালী মুখার্জী । বাঙালি শাস্ত্রীয় এবং নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী

মিতালী মুখার্জী একজন ভারতীয় শাস্ত্রীয় এবং নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী, যিনি মূলত বাংলাদেশের ময়মনসিংহ থেকে এসেছেন। তিনি ১৯৮২ সালে দুই পয়সার আলতা চলচ্চিত্রে এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই গানে সঙ্গীত পরিবেশনার জন্য বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

 

মিতালী মুখার্জী । বাঙালি শাস্ত্রীয় এবং নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী

 

মিতালী মুখার্জী । বাঙালি শাস্ত্রীয় এবং নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী

শৈশব ও শিক্ষা

মিতালী মুখার্জী তার বাবা অমূল্য কুমার মুখার্জী ও মা কল্যাণী মুখোপাধ্যায়ের পরিবারে ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার পিতার বাড়ি বরিশাল জেলায় এবং মায়ের বাড়ি কুমিল্লা জেলায় মুখার্জী পিটার মিঠুন দে’র তত্ত্বাবধানে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু করেন। তিনি বরোদার মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীতে শিক্ষা গ্রহণ করেন।

সঙ্গীত

মিতালীর কণ্ঠে প্রথম মৌলিক গান ছিল রফিক-উজ-জামানের লেখা ও অনুপ ভট্টাচার্যের সুরে ‘সুখ পাখিরে পিঞ্জিরা তোর’। এটি সে সময় বেতারে প্রচার হয়েছিল। টিভিতে তার প্রচারিত প্রথম মৌলিক গান ছিল ‘সুখ পাখিটা তো নীল চিঠি নয়’। তবে আলাউদ্দিন আলীর কথা এবং সুর-সঙ্গীতে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘দুই পয়সার আলতা’ চলচ্চিত্রের ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’ গানটি তাকে তারকা মিতালীতে পরিণত করে।

 

মিতালী মুখার্জী । বাঙালি শাস্ত্রীয় এবং নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী

 

এটি প্রথম মৌলিক গান হিসেবে বিটিভিতে প্রচার হয়। গানটি ভালোলাগার কারণে পরবর্তীতে চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত হয়। এই গান গাওয়ার জন্যই মিতালী মুখার্জি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এরপর বহু চলচ্চিত্রে মিতালী গেয়েছেন, ভারত সরকারের বৃত্তি পাওয়া নিয়ে গুজরাটের এমএস ইউনিভার্সিটিতে সঙ্গীতে পড়াশোনার সময়। সেখানে তিনি মাস্টার্সে গোল্ড মেডেল পদক লাভ করেন।

মুখার্জীর প্রথম অ্যালবাম “সাহিল” হয় এইচএমভি দ্বারা প্রকাশ করা হয়। তিনি তার অ্যালবাম “চাঁদ পারোসা হ্যায়”-এর জন্য গীতিকার গুলজারের সঙ্গে সহযোগিতা করেন। তিনি পাঞ্জাবি, গুজরাটি, তামিলসহ বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন।

ব্যক্তিগত জীবন

১৯৮২ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক নিয়ে পড়াশোনার জন্য ভারতের বারোদায় যান। সেখানেই ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে ভারতের আজকের খ্যাতিমান গজলশিল্পী ভূপিন্দর সিংয়ের সঙ্গে। ১৯৮৩ সালে বিয়ে করেন তারা। এরপর ভারতেই মিতালী স্থায়ী হন। বাংলাদেশে তিনি মিতালী মুখার্জী নামে পরিচিত হলেও ভারতে তিনি মিতালী সিং নামে সুপরিচিত। ২০২২ সালের ১৮ জুলাই ভূপিন্দর সিং মৃত্যবরণ করেন।

 

মিতালী মুখার্জী । বাঙালি শাস্ত্রীয় এবং নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী

 

পুরস্কার

মুখার্জী ৯ অক্টোবর, ২০১৫ তারিখে সিটি ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা পেয়েছেন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment