[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

রাগ মধুমাদ সারং

রাগ মধুমাদ সারং উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে কাফি ঠাটের অন্তর্গত রাগ বিশেষ। অনেকে এই রাগের ঠাটকে মিশ্র কাফি বলে থাকেন। এর রাগাঙ্গ সারং। প্রাচীনকালের মধ্যমাদি রাগের বাদী স্বর ছিল মধ্যম। সম্ভবত এই সূত্রে এর নাম হয়েছে মধ্যমবাদী>মধ্যমাদি। বর্তমানে এই রাগের বাদী স্বর ঋষভকে মান্য করা হয়। সমনাম : মধমাদ, মধ্যমাদি, মধ্যমাবতী (দক্ষিণ ভারত), মধুমাধবী।

রাগ মধুমাদ সারং

সঙ্গীত পারিজাত এবং সঙ্গীত সারামৃত-এ বর্ণিত মধ্যমাদি রাগের সাথে বর্তমানের প্রচলিত রাগের স্বরবিন্যাসে মিল পাওয়া যায়। তবে অন্যান্য কিছু প্রাচীন গ্রন্থে বর্ণিত মধ্যমাবতী, মধুমাধবী, মধ্যমাদি রাগের সাথে একালের মধ্যামদির মিল ততটা মিল পাওয়া যায় না। বৃন্দাবনী সারং রাগের সাথে এর মিল থাকলেও শুদ্ধ নিষাদ এই রাগে ব্যবহৃত হয় না। ফলে উভয় রাগের মধ্যে একটি পার্থক্য সৃষ্টি হয়। এই রাগের পূর্বাঙ্গে পর এবং উত্তরাঙ্গে ণপ প্রবলভাবে ব্যবহার করা হয়।

 

YaifwwriN4BzRFCyqbslL4 রাগ মধুমাদ সারং
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

আরোহণ: ণ্, স র ম প ণ র্স
অবরোহণ : র্স ণ প, ম র, ম র, ণ্‌স
ঠাট : কাফি
জাতি : ঔড়ব-ঔড়ব (গ ধ বর্জিত)।

 

রাগ মধুমাদ সারং

বাদীস্বর : ঋষভ
সমবাদী স্বর : পঞ্চম
অঙ্গ : পূর্বাঙ্গ।
সময় : দিবা ভাগ।
পকড় : ণ্, সর মর, রম পমর, ণ্‌সস

 

রাগ নারায়ণী

তথ্যসূত্র:
উচ্চাঙ্গ ক্রিয়াত্মক সঙ্গীত। শক্তিপদ ভট্টাচার্য। ১৫ এপ্রিল ১৯৮৩।
রাগ-রূপায়ণ। সুরেশচন্দ্র-চক্রবর্তী। ১৫ এপ্রিল ১৯৮৩।
হিন্দুস্থানী সঙ্গীত পদ্ধতি। বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখণ্ডে।

আরও দেখুনঃ