রাগ আড়ানা উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে কানাড়া অঙ্গের আশাবরী ঠাটের অন্তর্গত রাগ বিশেষ। এর আরোহণে শুদ্ধ নিষাদ এবং অবরোহণে কোমল নিষাদ ব্যবহৃত হয়। এর আরোহে গান্ধার এবং অবরোহে ধৈবত বর্জিত হয়। আবার কেউ কেউ অবরোহতে ধৈবত বক্রভাবে ব্যবহার করে থাকেন। রাগটির মূখ্য চলন মধ্য ও তার সপ্তকে। এর প্রকৃতি চঞ্চল। এটি কানাড়া অঙ্গের রাগ। এই রাগের সাথে বাহার-এর কিছুটা মিল পাওয়া যায়।
রাগ আড়ানা
আরোহণ: স র ম প দ ন র্স
অবরোহণ : র্স ন র্স দ ণ প ম প জ্ঞ ম র স
ঠাট : আশাবরী।
জাতি : ষাড়ব-সম্পূর্ণ।
বাদীস্বর : প
সমবাদী স্বর : র্স
অঙ্গ : পূর্বাঙ্গ।
সময় : রাত্রি তৃতীয় প্রহর।
পকড় : র্সা, দ, ন র্স, দ, ণ, প ম প, জ্ঞ ম র স।
শ্রবণ নমুনা
আমির খান, ওস্তাদ
বড়ে গুলাম, ওস্তাদ
ভীমসেন যোশী, পণ্ডিত
আলাপ: স র ম প দ ন র্স, দ ণ প, ম প জ্ঞ ম র স, ণ প ম প স, ধ ণ প, ণ ণ প ম প, ম প জ্ঞ ম র স।
তথ্যসূত্র:
উচ্চাঙ্গ ক্রিয়াত্মক সঙ্গীত। শক্তিপদ ভট্টাচার্য। নাথ ব্রাদার্স। ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭।
মগন-গীত ও তানমঞ্জরী, প্রথম খণ্ড। চিন্ময় লাহিড়ী। ১৪ এপ্রিল, ১৯৮৫।
রাগ বিন্যাস (প্রথম কলি)। শ্রীশচীন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য্য। এস, চন্দ্র এন্ড কোং। শারদীয়া সপ্তমী, সেপ্টেম্বর ১৯৭৬।
রাগ-রূপায়ণ। সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী। জেনারেল প্রিন্টার্স য়্যান্ড পাব্লিশাসার্স প্রাইভেট লিমিটেড। ?।
সঙ্গীত পরিচিত (উত্তর ভাগ)। শ্রীনীলরতন বন্দ্যোপাধ্যায়। হসন্তিকা। ৪ঠা এপ্রিল। ১৯৭৯।

সঙ্গীত শাস্ত্র। তৃতীয় খণ্ড। শ্রীইন্দু ভূষণ রায়।
हिन्दुस्थानी सङ्गीत पद्धति क्रमिक पुस्तक मालिका दुसरी पुस्तक। হিন্দুস্থানী পণ্ডিত বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখণ্ডে। এপ্রিল ১৯৫৪।
আরও দেখুনঃ
1 thought on “রাগ আড়ানা”