মিয়া তানসেন [ Miyan Tansen ] সংগীতজগতের অবিস্মরণীয় একটি নাম। তাঁর নাম জানেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। আসুন আজ তার সম্পর্কে জেনে নেই।
Table of Contents
মিয়া তানসেন এর জন্ম [ Birth of Miyan Tansen ]:
সংগীতের উজ্জ্বলতম এই জোতিষ্কের জন্ম ঠিক কত খ্রিষ্টাব্দে তা নিয়ে বহু মতভেদ আছে। কিন্তু তাঁর জন্মস্থান নিয়ে কোনো মতভেদ নেই। ধারণা করা হয়, ১৫০৬ খ্রিষ্টাব্দে গোয়ালিয়রের ‘বেহট’ গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। কোনো কোনো সংগীত-গবেষকের মতানুসারে তাঁর জন্ম ১৫১৬ খ্রিষ্টাব্দে। কেউ কেউ বলেন ১৫২০ খ্রিষ্টাব্দে, আবার কারো কারো মতে ১৫২১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তবে ডক্টর বিমল রায় বলেছেন,
‘সমস্ত দিক বিচার বিবেচনা করলে তানসেনের জন্ম ১৫১৬ খ্রিষ্টাব্দ বলে অনুমান করাই বোধ হয় যুক্তিসংগত হবে (ভারতীয় সংগীত প্রসঙ্গ, পৃষ্ঠা: ১১১)’।
মিয়া তানসেন এর বংশ পরিচয় [ Family lineage Miyan Tansen ] :
তাঁর পিতার নাম মকরন্দ পাণ্ডে ওরফে মুকুন্দরাম মিশ্র। তানসেনের প্রকৃত নাম ছিল রামতনু পাণ্ডে ওরফে তন্না মিশ্র।
মিয়া তানসেন এর বাল্যকাল ও তালিম [ Childhood & Training of Miyan Tansen ] :
অসাধারণ প্রতিভাবান তানসেন বাল্যকাল থেকেই বিভিন্ন জীবজন্তুর ডাক হুবহু অনুকরণ করতে পারতেন। বৃন্দাবনের তৎকালীন বিখ্যাত সংগীতসাধক স্বামী হরিদাস একদিন তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে নিয়ে একটি বনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় বাঘের গর্জন অনুকরণ করে কিশোর তানসেন তাঁদের ভয় দেখান। স্বামীজির কিন্তু সন্দেহ হয় এবং অনুসন্ধান করে তিনি ১০ বছর বয়সী তন্নাকে জঙ্গলের ভেতর থেকে আবিষ্কার করেন। বিস্ময়কর এই বালকের অসাধারণ মেধা এবং পশুপাখির ডাক হুবহু নকল করার ক্ষমতা দেখে স্বামীজি বিস্মিত হন। অতঃপর পিতা মুকুন্দরামের অনুমতি নিয়ে রামতনু পাণ্ডেকে তাঁর শিষ্য করে নেন। এভাবেই তন্না মিশ্রের সংগীতজীবনের শুরু এবং বৃন্দাবনেই তাঁর সংগীতের মূল ভিত রচিত হয়।
কিছুদিনের মধ্যেই রামতনুর প্রতিভার বিকাশ ঘটে এবং চারদিকে তাঁর সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় স্বামীজির প্রিয় শিষ্য নায়ক বৈজুর মস্তিষ্ক বিকৃতির খবর আসে, এই দুঃসংবাদে স্বামীজি অত্যন্ত ব্যথিত হন। শিক্ষাগুরু স্বামী হরিদাসজির এরকম দুঃখের কারণ জেনে অল্পবয়সী শিক্ষার্থী তন্না মিশ্রের হৃদয়ও দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। নায়ক বৈজু বাওরার অসাধারণ প্রতিভা, চরিত্রবল, ত্যাগ এবং মহানুভবতার পরিচয় পেয়ে তাঁর জন্য অন্তরে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সঞ্চারিত হয়।
ডকুমেন্টরি:
মনে মনে তিনি এই গুরুভাইয়ের দর্শন লাভের সংকল্প করেন। বিদগ্ধ সংগীতসাধক স্বামী হরিদাসের কাছে বিভিন্ন রাগের শিক্ষা লাভের মাধ্যমে নিজেকে শানিত করে সে সময় তিনি বিখ্যাত শিল্পীতে পরিণত হন। কঠোর সাধনা, নিয়মানুবর্তিতা, সংগীতের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা, গুরুজনের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাবোধ আর নিজস্ব কুশলী নৈপুণ্যের গুণে দিকে দিকে তাঁর সংগীতপ্রতিভার কথা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
ইতোমধ্যে পিতা মুকুন্দরাম পাণ্ডের মৃত্যু হলে তিনি বেশ বিচলিত হয়ে পড়েন। স্বামীজি প্রদত্ত সংগীতশিক্ষা সমাপ্ত হলে তাঁর অনুমতি নিয়ে রামতনু পাণ্ডে গোয়ালিয়রেই বসবাস শুরু করেন। বৃন্দাবন থেকে নিজ গ্রাম বিহাটে ফিরে তন্না মিশ্র শিবমন্দিরে সংগীতসাধনা শুরু করেন। লোকমুখে শোনা যায়, তাঁর সংগীতের মূর্ছনায় মন্দিরের দেয়াল আন্দোলিত হতো। স্থানীয়রা পূর্ণভাবে বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, রামতনুর সংগীতের কারণে মন্দিরটি একদিকে একটু হেলে পড়েছে।
প্রেমকুমারীর সাথে মিয়া তানসেন প্রেম ও বিবাহ [ Love affair with Premkumari and Marriage of Miyan Tansen ] :
গোয়ালিয়রের রাজা মানসিংহ তোমরের বিধবা পত্নী সুগায়িকা গুজরী ওরফে মৃগনয়নী তানসেনের সংগীতে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে সংগীত বিদ্যাপীঠের শিক্ষক নিযুক্ত করেন। সেখানে মহারানীর মাধ্যমে তাঁর আলাপ হয় এক রূপবতী সুধাকণ্ঠী গায়িকা হুসেনির সঙ্গে। পরবর্তীকালে তাঁরা পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। হুসেনি ছিলেন ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের, তাঁর প্রকৃত নাম ছিল প্রেমকুমারী। তাঁর পূর্বপুরুষরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু ধর্মান্তরের পরও তাঁকে হুসেনি ব্রাহ্মণী বলা হতো। রামতনু পাণ্ডে বিয়ের সময় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে নতুন নাম রাখা হয় মোহাম্মদ আতা আলী খান। গোয়ালিয়রের সেই বিখ্যাত সুফি সাধক হজরত শেখ মুহাম্মদ গাউস তাঁকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেন। গোয়ালিয়রের এই সিদ্ধ পুরুষ একই সঙ্গে আতা আলী খানের শিক্ষক এবং আধ্যাত্মিক উপদেষ্টা হিসেবে আমৃত্যু সহযোগিতা করেছিলেন।
স্বামীজির প্রিয় শিষ্য নায়ক চিন্তায় আতা আলীর মনে শান্তি ছিল না। তাঁর খোঁজে একদিন তিনি রেওয়া রাজ্যের রাজধানী বাঁদেগড়ে গিয়ে উপস্থিত হন। সেখানকার রাজা রামচন্দ্র বাঘেলা অভূতপূর্ব সংগীত পারদর্শিতায় মুগ্ধ হয়ে তাঁকে সভাগায়কের পদে বরণ করে নেন।
মিয়া তানসেন আসেন সম্রাট আকবরের দরবারে [ Miyan Tansen reaches Mughal Sultan Akbar’s Court ] :
রাজা রামচন্দ্র বাঘেলার দরবারে থাকাকালীন আতা আলী খানের সংগীতখ্যাতি চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেই খ্যাতির ঢেউ দিল্লির দরবারে গিয়ে পৌছায়। তৎকালীন মহাপরাক্রমশালী সম্রাট এবং ভারতবর্ষের অধিপতি জালালউদ্দিন আকবর ছিলেন অসাধারণ সংগীত সমঝদার ও সুরপিয়াসী মনের অধিকারী। কালবিলম্ব না করে সম্রাট আকবর তাঁকে দিল্লিতে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে যান এবং প্রকাশ্য দরবারে তাঁর সংগীতের মোহনীয় মূর্ছনায় বিমুগ্ধ হন। আনুমানিক ১৫৬৮ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মদ আতা আলী খান দিল্লির অধিপতি সম্রাট আকবরের দরবারে নবরত্নের শ্রেষ্ঠ রত্ন হিসেবে যোগদান করেন।
সম্রাট আকবরের আমলে ধ্রুপদ ঢংয়ের সংগীতচর্চা বেশ জনপ্রিয় ছিল। আতা আলী খানের কণ্ঠে ধ্রুপদ গান অপরূপ রূপে মূর্ত হয়ে উঠেছিল। অতুলনীয় কণ্ঠে তিনিই সর্বপ্রথম ধ্রুপদ গানের সার্থক রূপ প্রদান করেন, যা সম্রাটসহ দরবারের সকলকে মুগ্ধ করে। একাধারে বহু বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে বিস্মিত করে দেন মহামতি বাদশাহ নামদারকে।
এই সংগীতরত্নের বহুমুখী প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে সম্রাট আকবর রাজদরবারে অনুষ্ঠিত এক গানের জলসায় তাঁকে ‘মিয়া তানসেন’ উপাধি দান করেন। তখন থেকেই মুহাম্মদ আতা আলী খান ‘তানসেন’ নামে সুপরিচিত হয়ে ওঠেন। তানসেন শুধু সংগীতশিল্পী ছিলেন না, বরং অত্যন্ত উঁচুমানের সংগীতস্রষ্টা ও কবি ছিলেন। চারটি তুকযুক্ত বহু ধ্রুপদ গান তিনি রচনা করেছেন, যা অনেক গায়কের কণ্ঠে আজো শোনা যায়।
‘মিয়াকি তোড়ি’, ‘মিয়াকি সারং’, ‘মিয়াকি মালহার‘, ‘দরবারি কানাড়া‘ ইত্যাদি বহু রাগ তিনি সৃষ্টি করেছেন। এসব রাগে ব্যবহৃত ‘মিয়া’ বা ‘দরবারি’ শব্দটি তাঁরই পরিচয় বহন করছে। সংগীতের প্রভাবে তিনি দুরারোগ্য ব্যাধি নিরাময়, আগুন জ্বালানো, বৃষ্টি নামানো, জীবজন্তু বশ করা ইত্যাদি অভাবনীয় ঘটনা ঘটাতে পারতেন।
রাগ-রাগিণীর রূপায়ণেও অসাধারণ এবং অলৌকিক কৃতিত্বের অধিকারী ছিলেন মিয়া তানসেন। একবার সম্রাট আকবর তাঁকে ভরদুপুরে রাত্রিকালের রাগ পরিবেশনের অনুরোধ করলে তিনি গান শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দিনের আলো উধাও হয়ে সমস্ত প্রকৃতি অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এ প্রসঙ্গে The Music of india গ্রন্থের লেখক Rev H. A. Popley উল্লেখ করেছেন, ‘Once the celebrated Tansen was ordered by the emperor to sing a night raga at noon. As he sang, darkness came down on the place where he stood and spread around as far as the sound reached’.
মিয়া তানসেন ও বৈজু বাওরা [ Miyan Tansen and Baiju Bawra ] :
কথিত আছে, সংগীতজ্ঞ নায়ক বৈজু বাওরা সুস্থ হয়ে ওঠার পর এক সংগীত প্রতিযোগিতায় মিয়া তানসেনকে পরাজিত করেন। সংগীতযুদ্ধ শেষ হলে আনন্দাশ্রুতে এই দুই মহান শিল্পী তথা গুরুভাইয়ের মিলন হয়। এ প্রসঙ্গে কিংবদন্তি প্রচলিত আছে যে, গুরুভাইকে সম্পূর্ণ সুস্থ ও আনন্দিত দেখার জন্য কৌশলে তিনি নিজের পরাজয় মেনে নেন। মিয়া তানসেনের মহানুভবতা ও বিস্ময়কর সংগীতপ্রতিভায় সন্তুষ্ট হয়ে এক বর্ণাঢ্য রাজকীয় সংগীত জলসায় সম্রাট আকবর তাঁকে ‘অতাই’ অর্থাৎ ‘সর্বোৎকৃষ্ট গায়ক’ সম্মানে অধিষ্ঠিত করেন।
তানসেন যে শুধু কণ্ঠসংগীতে পারদর্শী ছিলেন তা-ই নয়, যন্ত্রসংগীতেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ। তিনি ‘রবাব’ নামে একটি অভিনব বাদ্যযন্ত্রের উদ্ভাবন করেন। সংগীতশাস্ত্র রচনাতেও তাঁর যথেষ্ট কুশলতার পরিচয় পাওয়া যায়। সংগীতসার ও রাগমালা নামে তাঁর রচিত দুটি সংগীতবিষয়ক গ্রন্থের কথা জানা যায়। সংগীতসম্রাট মিয়া তানসেনকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। ঐতিহাসিক আবুল ফজল তাঁর অসাধারণ সংগীতপ্রতিভার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে বলেছেন যে –
‘হাজার বছরের মধ্যে তানসেনের সমপর্যায়ের কোনো গায়ক পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেন নি।
মূলত তানসেনই ধ্রুপদকে স্থায়ী, অন্তরা, সঞ্চারী ও আভোগে বিভক্ত করে নবরূপে রূপায়িত করেন এবং রাগে সপ্তস্বরের প্রয়োগ তিনিই করেছিলেন। ডক্টর বিমল রায় বলেছেন,
“তিনি নায়ক হন নি হয়েছিলেন গুণী যিনি গানে আনেন নতুনত্ব, চমৎকারিতা, আনেন নবীন অনুভূতি, অপূর্ব রসা (ভারতীয় সঙ্গীত প্রসঙ্গ: ১১৪ পৃষ্ঠা)।
মিয়া তানসেন এর পরিবার [ Family of Miyan Tansen] :
তানসেনের চার পুত্র সুরতসেন, তরঙ্গসেন, শরৎসেন ও বিলাস খাঁ এবং এক কন্যা সরস্বতী। কন্যা সরস্বতীর সঙ্গে প্রসিদ্ধ বীণাশিল্পী সম্মুখন মিশ্র ওরফে নওবত খাঁ সাহেবের বিয়ে হয়। পুত্র-কন্যারা সকলেই সংগীতবিদ্যায় যথেষ্ট পারদর্শী ছিলেন। তাঁর পুত্র বিলাস খাঁ সম্রাট জাহাঙ্গীরের সভাগায়কের পদ অলংকৃত করেছিলেন।
![মিয়া তানসেন [ Miyan Tansen ] বা মোহাম্মদ আতা আলী খান 3 YaifwwriN4BzRFCyqbslL4 মিয়া তানসেন [ Miyan Tansen ] বা মোহাম্মদ আতা আলী খান](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_160,h_120/https://musicgoln.com/wp-content/uploads/1965/12/YaifwwriN4BzRFCyqbslL4-300x225.png)
মিয়া তানসেন এর মৃত্যু [ Demise of Miyan Tansen] :
সংগীত সম্রাটের জন্ম সময়ের মতোই তাঁর মৃত্যুকাল নিয়েও মতভেদ আছে। কোনো কোনো সংগীত-গবেষকের মতে, তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৫৮৫ খ্রিষ্টাব্দে, কেউ বলেন ১৫৮৯ খ্রিষ্টাব্দে আবার কোনো কোনো সংগীতগুণীজন ১৫৯৫ খ্রিষ্টাব্দ তাঁর মৃত্যুকাল বলে উল্লেখ করেন। তবে এর মধ্যে অধিক সমর্থিত মত হচ্ছে, ১৫৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সংগীতসম্রাটের শেষ ইচ্ছানুযায়ী গোয়ালিয়রের মহান সিদ্ধপুরুষ সুফি সাধক শেখ মুহাম্মদ গাউস সাহেবের সমাধির ডানপাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
প্রতিবছর ভারতের নানা জায়গা থেকে সংগীতগুণীরা সেখানে গিয়ে গান-বাজনা করে সংগীতসম্রাট মিয়া তানসেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে থাকেন। কথিত রয়েছে, তাঁর সমাধির কাছে একটি তেঁতুলগাছ আছে, যার পাতা খেলে নাকি কণ্ঠস্বর সুমধুর হয়।
![মিয়া তানসেন [ Miyan Tansen ] বা মোহাম্মদ আতা আলী খান 4 মিয়া তানসেন [ Miyan Tansen ] বা মোহাম্মদ আতা আলী খান](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_300,h_157/https://musicgoln.com/wp-content/uploads/2021/10/Music-GOLN-04-300x157.jpg)
মিয়া তানসেন [ Miyan Tansen ] সম্পর্কে আরও জানুন:
- সঙ্গীত গুরুকুল : সংগীতজ্ঞদের জীবনীর সারসংক্ষেপ
3 thoughts on “মিয়া তানসেন [ Miyan Tansen ] বা মোহাম্মদ আতা আলী খান”