জয়পুর ঘরানা [ Jaipur Gharana ]: সংগীতাকাশের অন্যতম জ্যোতিষ্ক সংগীতজ্ঞ শাহ সদারঙ্গের দ্বিতীয় পুত্র মহারঙ্গ নামে খ্যাত সংগীতজ্ঞ ভুপত খাঁ ওরফে মহম্মদ আলীকে ‘জয়পুর ঘরানা’র প্রবর্তক বলা হয়। সংগীত-গবেষক ও ঐতিহাসিক গুণীজনদের মতানুসারে অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে খ্যাতিমান এই সংগীতজ্ঞের জন্ম হয়। পিতা এবং বড় ভাইয়ের পথ অনুসরণ করে তিনিও রাজাধিরাজ মহম্মদ শাহের রাজদরবার অলংকৃত করেছিলেন। সংগীতসম্রাট মিয়া তানসেনের দৌহিত্র বংশের একাদশতম সংগীত নক্ষত্ররাজির অন্যতম মহারঙ্গ ছিলেন ধামার ও খেয়াল গানের অপ্রতিদ্বন্দ্বী শিল্পী।
বংশের ধারানুযায়ী বীণাশিল্পী হিসেবে তিনি এতটাই প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছিলেন যে, সংগীত ইতিহাসে ‘শাহ বীণকার’ নামেও হয়ে ওঠেন খ্যাতিমান। তাঁর প্রবর্তিত জয়পুর-ঘরানার গায়নশৈলী সংগীতপিপাসু মহলে ছিল উচ্চ প্রশংসিত। এই ঘরানার শিল্পীদের মধ্যে আশিক আলী খাঁ, গোরখি বাঈ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কিন্তু পরবর্তী সময়ে জয়পুর-ঘরানার তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো শিল্পীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। হয়তো সে কারণেই জয়পুর-ঘরানা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায় না। তবে অনেক সংগীতগুণীজন বলেন, পাতিয়ালা ও আল্লাদিয়া খাঁ ঘরানা জয়পুর ঘরানারই উত্তর বাহক।
জয়পুর ঘরানার বৈশিষ্ট্য [ Speciality of Jaipur Gharana] :
- গীতের সংক্ষিপ্ত বন্দিশ
- বক্রতান ও ছুটতানের প্রয়োগ
- খোলা আওয়াজের প্রয়োগ।
আরও দেখুন:
2 thoughts on “জয়পুর ঘরানা | গীত ঘরানা, কণ্ঠশিল্পী বা গানের ঘরানা | সঙ্গীতের ঘরানা”