খালিদ হোসেন ছিলেন একজন বাঙালি নজরুলগীতি শিল্পী এবং নজরুল গবেষক। তিনি নজরুলের ইসলামী গান গাওয়ার জন্য সুপ্রসিদ্ধ।তার ছয়টি নজরুলগীতির অ্যালবাম এবং ১২টি ইসলামী গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। সঙ্গীতের অবদানের জন্য ২০০০ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত হন।
Table of Contents
প্রারম্ভিক জীবন
খালিদ হোসেন ১৯৩৫ সালের ৪ ডিসেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান ভারত) পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন। দেশ বিভাগের পর তিনি পরিবারের সাথে কুষ্টিয়ার কোর্টপাড়ায় চলে আসেন। ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি স্থায়ীভাবে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন।
কর্মজীবন
খালিদ হোসেন সঙ্গীত প্রশিক্ষক ও নিরীক্ষক হিসেবে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক বোর্ড দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি নজরুল ইনস্টিটিউটে নজরুলগীতির আদি সুরভিত্তিক নজরুল স্বরলিপি প্রমাণীকরণ পরিষদের সদস্য।পাঁচ দশক ধরে বাংলাদেশে নজরুল গীতির শিক্ষক, গবেষক ও শুদ্ধ স্বরলিপি প্রণয়নে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
হোসেনের ছয়টি নজরুলগীতির অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। তার সর্বশেষ নজরুলগীতির অ্যালবাম হল শাওনো রাতে যদি। এছাড়া তার ১২টি ইসলামী গানের অ্যালবামও প্রকাশিত হয়েছে। তার একমাত্র আধুনিক গানের অ্যালবাম চম্পা নদীর তীরে।
সম্মাননা
নজরুলগীতিতে অনবদ্য অবদানের জন্য ২০০০ সালে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে একুশে পদক পান। এছাড়াও, তিনি নজরুল একাডেমি পদক, শিল্পকলা একাডেমি পদক, কলকাতা থেকে চুরুলিয়া পদকসহ বহু সম্মাননা লাভ করেছেন।
মৃত্যু
দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত এ শিল্পী সম্প্রতি কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতায় ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে গত ৪ মে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। পরবর্তীতে খালিদ হোসেন ২০১৯ সালের ২২ মে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) মৃত্যুবরণ করেন।
আরও দেখুনঃ
1 thought on “খালিদ হোসেন । বাঙালি নজরুলগীতি শিল্পী এবং নজরুল গবেষক”