[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

অদারঙ্গ | সংগীতজ্ঞ

সংগীতজ্ঞ সদারঙ্গের দুই পুত্র। তাঁদের একজনের নাম ফিরোজ খাঁ, যাঁর ছদ্মনাম অদারঙ্গ এবং অপর পুত্রের নাম ভুপত খা, যাঁর ছদ্মনাম মহারঙ্গ। সদারঙ্গের উত্তর সাধক হিসেবে অদারঙ্গের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে কোনো একসময়ে তাঁর জন্ম হয় বলে জানা যায়। মহাপ্রতিভাবান সংগীতজ্ঞ পিতা ওস্তাদ নিয়ামত খাঁ সাহেবের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে শৈশব থেকেই তিনি সংগীতসাধনায় মনোনিবেশ করেন। উপযুক্ত শিষ্য পুত্র ফিরোজ খাঁকে পিতা সদারঙ্গ নিজ ভাণ্ডার উজাড় করে সংগীতশিক্ষা প্রদান করেন।

অদারঙ্গ

অদারঙ্গ

নিবিষ্ট সাধনা, কঠোর নিয়মানুবর্তিতা, পর্যাপ্ত অনুশীলন এবং সংগীতের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসার কারণে অল্পদিনের মধ্যেই হয়ে ওঠেন তিনি সংগীতভুবনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। পিতার মতো খেয়াল গায়ক ও সংগীতস্রষ্টা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও বীণাশিল্পী এবং ধামার গানের জন্য তিনি বিশেষভাবে খ্যাতি অর্জন করেন। ঈর্ষণীয় সংগীতনৈপুণ্যের গুণে ফিরোজ খাঁ দিল্লির সম্রাট মোহাম্মদ শাহের দরবারে একজন সুগায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভ করেন।

 

YaifwwriN4BzRFCyqbslL4 অদারঙ্গ | সংগীতজ্ঞ
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

বাদশাহ নামদার অসাধারণ সংগীতপ্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে ফিরোজ খাঁকে ‘অদারঙ্গ’ উপাধি প্রদান করেন। তাঁর রচনাশক্তি ছিল অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী, আকর্ষণীয়, প্রখর মেধাদীপ্ত, দারুণ কুশলী ও চমৎকার প্রশংসনীয়। স্বনামখ্যাত পিতার পথ অনুসরণ করে তিনি প্রচুর ধ্রুপদ, খেয়াল ও তারানা রচনা করেন। তাঁর গানের আঙ্গিক ও রচনাশৈলী ছিল অত্যন্ত সুন্দর ও নান্দনিকতাপূর্ণ। তাঁর সৃষ্ট ‘ফিরোজখানি টোড়ি’ বর্তমান সময়ে বিশেষভাবে সমাদৃত।

অদারঙ্গ

অদারঙ্গের গানগুলোর বেশিরভাগই মোহাম্মদ শাহের স্তুতিসূচক হলেও ভাষার মাধুর্য ও ভাবের মননশীলতায় এক বিশেষ মাত্রা প্রদানের সাক্ষ্য বহন করে। সংগীত সৃষ্টির ক্ষেত্রে গুণী পিতার অনুসারী ছিলেন বলেই সংগীতভুবনে ফিরোজ খাঁ ওরফে অদার’ঙ্গ নামটি আজো অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয়। উচ্চাঙ্গসংগীতের বন্দিশে ‘অদা’রঙ্গ’ উল্লেখ হলে তা এই গুণী সংগীতজ্ঞের অপূর্ব কুশলী সৃজনশীলতার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।

আরও দেখুন: